কোচবিহার

সিপিএম কর্মীদের উপর তৃণমূল দুষ্কৃতিদের হামলা, ঘটনায় মৃত এক, আহত ৭ সিপিএম কর্মী

সিপিএম কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের জামালদহের হরিরবাড়ির এলাকায়। মৃত সিপিএম কর্মী নাম রমজান মিঞা। ঘটনায় আহত ৭ জন সিপিএম কর্মী বর্তমানে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

জানা গিয়েছে, প্রতিবার মেখলিগঞ্জের জামালদহের হরিরবাড়ির বুথে জয়ী হয় সিপিএম। এবারের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেও দেখা যায় নিজেদের অবস্থান অটুট থেকেছে সিপিএম। যা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রোষের মুখে পরেন জয়ী সিপিএম প্রার্থী আতাবুল ইসলাম। আতাবুল ইসলাম এই এলাকার এস.এফ.আই নেতা। তাদের হরিরবাড়ি গ্রামের ওপর দিয়ে চলে গেছে চ্যাংড়াবান্ধা থেকে কোচবিহার রেল লাইন। অন্যদিকে, এই এলাকায় ক্ষমতা দখল করতেই আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই রেল লাইনে মাটি ফেলার কাজের বরাত পাওয়া নিয়েই চলছিল সিপিএমের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধ। পরে এই রেল লাইনের মাটি ফেলার কাজের বরাত পায় সিপিএমের জয়ী প্রার্থী আতাবুলের ঘনিষ্ঠরা। আর সেটা হয়ে দাড়ায় তৃণমূলের ক্ষোভের মূল কারণ। অভিযোগ, কাজের বরাত পেতে এর আগেও এলাকায় সন্ত্রাস করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। রবিবার বিকেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা দল বেঁধে হানা দেয় গ্রামে। অভিযোগ, প্রথমে তারা চড়াও হয় আতাবুলের বাড়িতে। তাদের বাড়ির উঠোনে থাকা খড়ের গাদায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়, ঘরে আগুন লাগাতে গেলে বাধা দেন আতাবুলের বাবা সফিউদ্দিন মিঞা। আক্রান্থ হন আতাবুল। তাদের বাঁচাতে এসে ছেলে জাবেদ আলী সহ আক্রান্ত হন রমজান মিঞা। রমজান নিজেও কৃষিকাজের পাশাপাশি ঠিকাদার সংস্থার আওতায় রেল লাইনে মাটি ফেলার শ্রমিকের কাজ করতেন। তার মাথায় পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা। পরে রমজানকে মেখলিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মাথায় আঘাত পান মৃতের ছেলে জাবেদ। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিচের লিংকে 

https://www.youtube.com/embed/OfcxnhERaYY